যদি মুসলিম হয়ে থাকেন। এই চার টি দোয়া শিখুন। ইনশাআল্লাহ কাজে লাগবে।
বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দু'আ
لا إله إلا أنت سبحانك إني كنت من الظالمين
উচ্চারণ ঃ লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুন্তু মিনায্ যালিমীন । অর্থ : (হে আল্লাহ্!) তুমি ভিন্ন অন্য কোনো উপাস্য নেই, তুমি পবিত্রতম, নিশ্চয় আমি যালিমগণের (অত্যাচারীদের) অন্তর্ভুক্ত।
ফযীলত : কঠিন বিপদ, মামলা-মোকদ্দমা ও সঙ্কটের সময় এ দু'আ সোয়া লাখ বার পড়বেন। পাক অবস্থায় পাক বিছানায় বসে কেবলামুখী হয়ে পড়বেন। ৩, ৭ কিংবা ৪০ দিনে শেষ করবেন। মাছের পেটের ভিতর অন্ধকারের মধ্যে হযরত ইউনুস (আ.) এ দু'আ পাঠ করেছিলেন বলে অন্ধকারে বসে পড়লে আরও তাড়াতাড়ি ফল লাভ হয়। খতম শেষ হলে একবার এ আয়াত পড়বেন।
تستجبنا له ونجيناه من الفي وكل الك تنجي المؤمنين
কঠিন কাজ সহজসাধ্য হওয়ার দু'আ
وأفوض أمري إلى الله إن الله بصير بالعباد. উচ্চারণ ঃ ওয়া উফাব্বিদু আমরী ইলাল্লাহি ইন্নাল্লাহা বাসীরুম বিল ইবাদ। -সূরা মোমেন, ৪৪ আয়াতের শেষ অংশ
অর্থ ঃ এবং আমি আমার কাজ আল্লাহ্র উপর সমর্পণ করলাম, নিশ্চয়ই আল্লাহ আপন বান্দাগণের প্রতি দৃষ্টিকারী।
ফযীলতঃ ফেরাউনের রাজত্বকালে একজন ঈমানদার ব্যক্তি হযরত মূসা | (আ.)-কে সত্য নবী বলে স্বীকার করে তাঁর নবুওয়তের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার। জন্য উপদেশ দিতেন। তিনি তাদেরকে বলতেন- তোমরা বিশ্বাস কর আর না কর, আমি আল্লাহ্ তা'আলার অনুগ্রহের উপর আমার কাজের ভার অর্পণ করেছি। এ আয়াত দ্বারা আল্লাহ্ তা'আলার রহমত ও দয়ার উপর কাজের ভার ছেড়ে দেয়া হয়; সেজন্য এর বরকতে যাবতীয় কাজ সহজসাধ্য এবং কল্যাণকর হয়!
জীবনে উন্নতি লাভের দু'আ
(1) تبرك الذي بيده الملك وهو على كل شيء قدير (٢) وإنه هو أغنى واقنی . (3) والله يختص برحمته من يشاء والله ذو الفضل العظيم.
উচ্চারণ ঃ (১) তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুল্কু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন্ ক্বাদীর। (- সূরা মুলক, প্রথম আয়াত), (২) ওয়াইন্নাহু ওহুয়া আগ্না ওয়া আকুনা। (-সূরা নাজ্ম, ৪৮ আয়াত), (৩) ওয়াল্লাহু ইয়াত্তাসু বিরাহমাতিহী | মাইয়াশা-উ, ওয়াল্লাহু যুলফাদ্বলিল আযীম। -সূরা বাকারাহ্, ১০৫ আয়াত
অর্থ ঃ (১) তিনিই (আল্লাহ) বরকতময় অর্থাৎ কল্যাণবর্ধক, যাঁর হাতে রাজত্ব (আধিপত্য) রয়েছে এবং তিনিই সর্বশক্তিমান, (২) এবং তিনিই সম্পদ ও আধিপত্য দান করেন, (৩) আল্লাহ যাকে ইচ্ছে নিজ অনুগ্রহে বিশেষত্ব দান করেন এবং আল্লাহ্ই মহাকল্যাণের অধিকারী।
ফযীলত ঃ এ আয়াত পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলাই যে সকল প্রকার কল্যাণ, মঙ্গল ও অনুগ্রহের একমাত্র দাতা, তা স্মরণ করা হয়, ফলে পাঠকারীর উপর তাঁর কল্যাণ ও অনুগ্রহ নাযিল হয়ে সাংসারিক জীবনে উন্নতি লাভ হয়। এই আয়াত তিনটি সর্বদা নিয়মিত পড়লে সাংসারিক উন্নতি লাভ হয় ও চাকরিতে পদোন্নতি হয়।
গুনাহ মাফের দু'আ
ربنا ظلمنا أنفسنا وإن لم تغفر لنا وترحمنا لنكونن من الخاسرين . উচ্চারণ ঃ রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরীন। -সূরা আ'রাফ, আয়াত-২৩
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক (আল্লাহ)! আমরা নিজেরাই নিজেদের
জীবনের প্রতি অত্যাচার করেছি। এখন যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না করো, আমাদের প্রতি সদয় না হও, তবে আমরা নিশ্চয়ই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে গণ্য হব। ফযীলত ঃ হযরত আদম (আঃ) বেহেশত থেকে যখন দুনিয়াতে এসে পড়েন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে এ মুনাজাত পড়ে গোনাহ মাফ পেয়েছিলেন । এ মুনাজাত দ্বারা আল্লাহর কাছে নিজ দোষ স্বীকার করা হয়, ফলে আল্লাহ মুনাজাতকারীর গোনাহ মাফ করে দেন। প্রত্যেক নামাযের পর এ আয়াত পড়ে মুনাজাত করলে গোনাহ মাফ হয় এবং নাজাত পাওয়া যায়।