ইসলামী আদর্শ ও তার বৈশিষ্ট্য কী। What are the Islamic ideals and their characteristics?
ইসলাম শুধু ব্যক্তির জীবনে নয়, সমাজজীবনেও এই শান্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছে। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম শিক্ষা দেয়- এসো সকলে মিলে সত্যের জন্য কাজ
ইসলামী আদর্শ ও তার বৈশিষ্ট্য
ইসলামী আদর্শ ও তার বৈশিষ্ট্য |
দুনিয়ার মানুষকে তার প্রভু আল্লাহ যে পথ দেখিয়ে দিয়েছেন তার নাম 'ইসলাম'। ইসলাম আমাদের জানায় এ জীবনের উদ্দেশ্য ও পরিণতি কী। এ দুনিয়ায় মানুষের মর্যাদা কতটুকু, দুনিয়ায় তাকে কী কাজ করতে হবে। মানুষের জীবনে সফলতা কোন পথে এবং কী কী কাজ আমাদের জন্য ক্ষতিকর। মোটকথা আমাদের জীবনের প্রকৃত পরিচয় জানিয়ে দেয় ইসলাম। ইসলামই আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক আধ্যাত্মিক জীবন পরিচালনায় সবচেয়ে সুন্দর উপায় বাতলে দেয়।
ইসলাম মানুষকে আল্লাহর দেখানো পথে পরিচালিত করে। ইসলামের শাব্দিক অর্থ হলো আত্মসমর্পণ অর্থাৎ নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। এর অর্থ আল্লাহর হুকুমকে মেনে নেওয়া, তা মেনে চলা এবং পুরোপুরিভাবে আল্লাহর কাছে নিজেকে সঁপে দেওয়া। আল্লাহর হুকুম মেনে চললে মানুষের জীবনে নেমে আসে অনাবিল অফুরন্ত শাস্তি। এই অর্থে ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম।
শান্তির ধর্ম
একবার চারদিকটা তাকিয়ে দেখি। চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, পাহাড়, পর্বত, সমুদ্র, নদী, গাছপালা, পশু-পাখি সবকিছু এক সুন্দর নিয়ম মেনে চলছে। মেনে চলছে আল্লাহর বিধান। তাইতো তাদের মধ্যে নেই কোনো অশান্তি, দেখি না কোনো গরমিল। দিনের শুরুতে ঠিক পূর্ব দিকে সূর্য উঠে এবং শেষ বেলায় ঠিক পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। আসে রাত। চাঁদ উঠে আকাশে। সেই আকাশে রাতের তারারা ঝিলমিল করে হাসে। আবার রাত কেটে যায়। ফুলেরা হাসে। বসন্তে গাছে গাছে সবুজ পাতার বাহার। এভাবে প্রকৃতির সবকিছু এক সুন্দর।
নিয়ম মেনে চলছে। কেউ এ নিয়ম ভাঙতে পারে না। সকলেই আল্লাহর আইন মানছে, মানতে বাধ্য।
কিন্তু মানুষের ব্যাপারটি একটু আলাদা। আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন জ্ঞান। দিয়েছেন ভালো ও মন্দ বিচার করার ক্ষমতা। শুধু তাই নয়, তিনি আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন রাসূল ও কিতাব। এত কিছুর পরেও আল্লাহ মানুষকে তাঁর আইন মানতে বাধ্য করেন না। তার আইন মানা না মানা পুরোটাই মানুষের ইচ্ছা। আর এভাবেই তিনি আমাদের পরীক্ষা করতে চান। প্রকৃতির সকলেই মেনে চলছে আল্লাহর আইন। তাই প্রকৃতিতে বিরাজ করছে শান্তি ও শৃঙ্খলা। তেমনি নবি ও রাসূলদের মাধ্যমে আমাদের কাছে যে পথের দিশা এসেছে তা যদি মেনে চলি তাহলে আমাদের জীবনেও আসবে অনাবিল শান্তি ও সমৃদ্ধি। জীবনে এই শান্তি পেতে হলে আল্লাহর হুকুম ও আদেশ-নিষেধকে স্বেচ্ছায় মেনে নিতে হবে। সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে হবে আল্লাহর কাছে। আর তখনই আমাদের জীবনে শান্তি নেমে আসবে। আল্লাহর কাছে সবকিছু সঁপে দেওয়ার নামই ইসলাম।
ইসলাম শুধু ব্যক্তির জীবনে নয়, সমাজজীবনেও এই শান্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছে। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম শিক্ষা দেয়- এসো সকলে মিলে সত্যের জন্য কাজ করি এবং অন্যায়কে নির্মূল করি। দুনিয়ায় মানুষের জীবনটাই-বা কয় দিনের। প্রত্যেক মানুষকেই মৃত্যুবরণ করতে হবে। মৃত্যুর পর যে জীবন, সে জীবনে মুক্তি ও শান্তির জন্য দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর আইন মেনে চলতে হয় । এভাবে ইসলাম মানুষকে শুধু দুনিয়ায় নয়- দুনিয়ার পর যে অনন্ত জীবন আছে সেখানেও শান্তির পথ দেখায়। তাই কুরআন আমাদের শেখাল
ربنا آتنا في الدنيا حسنة وفي201/ الآخرة حسنة وقنا عذاب النّار
‘হে আমাদের রব! আমাদের দুনিয়ায় কল্যাণ দাও এবং আখিরাতেও কল্যাণ দাও এবং জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। সূরা আল বাকারা : (২০১)
স্বভাবধর্ম
মানুষের স্বভাবটাই এমন— সে সব সময় ভালোকে পছন্দ এবং মন্দকে ঘৃণা করে। সত্য কথা বলা- এ গুণটা সকলেরই পছন্দ। আবার মিথ্যা কথা বলা সকলের অপছন্দ। এমনকী একজন মিথ্যাবাদীও চায় না সবাই তাকে মিথ্যুক বলুক। এভাবে অন্যকে সাহায্য করা, অন্যের কষ্টের সময় তার পাশে দাঁড়ানো, পিতা-মাতার প্রতি ভালো ব্যবহার, বিনয় ও সততা এসব সৎগুণ। এগুলো সব সময়ই সমাজে প্রশংসিত। অন্যদিকে অন্যের মনে কষ্ট দেওয়া, রুক্ষতা, পিতা-মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার, হঠকারিতা ইত্যাদি বিষয়গুলো সব সময় সকলে ঘৃণা করে।
তাই আমরা বলতে পারি- সত্যকে পছন্দ এবং মিথ্যাকে ঘৃণা করা মানুষের স্বভাব। কুরআনের ভাষায় সত্য হলো ‘মারুফ' এবং মিথ্যা হলো 'মুনকার'। ইসলাম মারুফ প্রতিষ্ঠা করা ও মুনকারকে উৎখাত করার শিক্ষা দেয়। তাই বলতে পারি ইসলাম হলো মানুষের স্বভাবধর্ম।
মানুষের শরীরটার দিকে তাকালে আমরা কী দেখতে পাই? দেখি তার মাথা, শিরা-উপশিরা, পেশিসমূহ, হাত-পা, নাক, কান, মোটকথা তার পুরো দেহটাই নিজ নিজ কাজ করে যাচ্ছে। আল্লাহ যাকে যা করার ক্ষমতা দিয়েছেন এবং যেভাবে তা করতে বলেছেন, সেটা সেভাবে করে যাচ্ছে। এদিক দিয়ে মানুষের দেহ আল্লাহর হুকুম মেনে চলছে। তার দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, অণু-পরমাণু আল্লাহর আইনের অনুসারী। হাত, পা, মুখ মোটকথা তার পুরো দেহটা স্বভাবের দিক থেকে আল্লাহর আইনের অধীন । অর্থাৎ বলা যেতে পারে, স্বভাব-প্রকৃতির দিক দিয়ে তার দেহটা মুসলমান।
এখন যদি কেউ স্রষ্টাকে চিনে, তাঁকেই একমাত্র মনিব হিসেবে মেনে নেয় মোটকথা ইসলামকে মেনে চলেন তাহলে বলা যায় সে স্বভাবের মূল দাবিই পূরণ করল। তাই স্বেচ্ছায় ইসলাম মেনে নেওয়া মানুষের স্বভাবধর্ম। আর ইসলামকে অস্বীকার করা নিজের স্বভাবধর্মকে অস্বীকার করা।
পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান
দুনিয়াতে মানুষকে অনেক কাজ করতে হয়। কীভাবে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী সব কাজই করতে হবে তা ইসলাম বলে দেয়। জীবনের এমন কোনো দিক।
নেই যেখানে আল্লাহর নির্দেশ কী তা জানা যায়নি। এমন কোনো বিভাগ নেই। যেখানে ইসলাম পথনির্দেশ দেয়নি।
ব্যক্তিজীবন, সমাজজীবনের প্রতিটি দিক ও বিভাগে ইসলাম মানুষকে পথ দেখায়। সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তি। ও সমৃদ্ধির জন্য কী করতে হবে তা কুরআন যেমন বলে দিয়েছে, তেমনি আমাদের প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) বাস্তবে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।
ব্যক্তির আত্মাকে সুন্দর ও উন্নত করার জন্য ইসলাম যেমন পথ দেখিয়ে দিয়েছে, তেমনই সমাজকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ করার জন্যও ইসলাম পথ নির্দেশ দিয়েছে।
তাই ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। অন্যান্য মতবাদগুলোর দিকে যদি তাকাই, সেগুলো জীবনের বিশেষ কোনো একটি দিককে গুরুত্ব দিয়েছে। অনেক ধর্ম শুধু ব্যক্তির আত্মাকে সুন্দর ও পবিত্র করার কথা বলে। অনেক মতবাদ অর্থ-সম্পদকে বড়ো করে দেখে। কেউ আবার ভুল-সঠিককে পরওয়া না করে নিজের কওম বা জাতিকে বড়ো করে দেখাতে শেখায়। এ মতবাদগুলো হলো জীবনকে খণ্ড খণ্ড করে দেখার ফল। মানুষের পুরো ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের জন্য এসব মতবাদ কোনো সঠিক পথের দিশা দিতে পারে না।
ইসলাম মানুষের জীবনকে এভাবে খণ্ড খণ্ড করে দেখে না। মানুষের স্বভাবকে অস্বীকার করে না।
দেখুন, কুরআন কী বলছে
وكلوا واشربوا 31ولا تسرفوا
‘আর খাও এবং পান করো কিন্তু সীমা অতিক্রম করো না।' সূরা আল আরাফ : ৩১
قل من حرم زينة الله التي32 أخرج لعبادة والطيبات من الرزق قل هي للذين أمنوا في الحياة الدنيا خالصة يوم القيامة
'হে নবি! বলো- আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য যেসব সুন্দর বস্তু আর উত্তম জীবিকা সৃষ্টি করেছেন, সেগুলো হারাম করলো কে? বলো
সেগুলো তো মুমিনদেরই জন্যে এই দুনিয়ার জীবনে, বিশেষ করে কিয়ামত দিবসে।' সূরা আল আরাফ : ৩২
ওদিকে ইসলাম মানুষকে একেবারে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেয়নি। তার লোভ লালসাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার নিয়ম-কানুনও বলে দিয়েছে। তোমার লোভ লালসা ও জুলুমে অন্যের ক্ষতি হবে- এটা ইসলাম কখনও বরদাশত করে না। মোটকথা, ইসলাম যেমন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করে না তেমনি সমষ্টিকেও বঞ্চিত করে না। দুয়ের মাঝে এক সুন্দর ভারসাম্য রক্ষা করার পথ বাতলে দেয়। তাই ইসলামকে মানতে হলে পুরোপুরিই মানতে হয়। পবিত্র কুরআন বলে।
يا أيها الذين امنوا ادخلوا في السلم كافة
'হে ঈমানদারগণ! তোমরা পুরোপুরিভাবে ইসলামের মধ্যে প্রবেশ
করো।' সূরা আল বাকারা : ২০৮ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধানকে মেনে চলুন।
সকলের জন্য
ইসলামের শিক্ষা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্য। ইসলাম বিশেষ কোনো দেশ, জাতি বা বর্ণের জন্য নয়। ইসলাম হচ্ছে, বিশেষ কতগুলো গুণের নাম। যার মাঝেই ওই গুণগুলো পাওয়া যাবে সে মুসলমান। সে যেকোনো ভাষা, জাতি বা যেকোনো বর্ণের হতে পারে।
ইসলাম যাকে সারা বিশ্বের প্রতিপালক হিসেবে স্বীকার করে সেই ‘আল্লাহ’ দুনিয়ার সকল মানুষের আল্লাহ। ইসলামের 'নবি' দুনিয়ার সকল মানুষের নবি ।
এই দুনিয়ায় অনাচারের মূল হলো- মানুষে মানুষে বিভেদ। এক দেশের লোক অন্য দেশের লোকের ওপর কর্তৃত্ব করতে চায়। এক বর্ণের লোক অন্য বর্ণের লোকের অধিকারই স্বীকার করতে চায় না। তাই যে আইনগুলো তারা মানে তা পুরোপুরি একতরফা। কিন্তু নিজের জন্য যা ঠিক তা অন্যের জন্য ঠিক নাও হতে পারে। নিজেদের জন্য যা সত্য, অন্যের জন্য মিথ্যা। একই অপরাধে নিজ জাতির লোকের জন্য এক ধরনের বিচার আবার অন্য জাতির লোকদের জন্য অন্য ধরনের। ইসলাম মানুষে মানুষে এই বিভেদের প্রাচীর ভেঙে ফেলে। ইসলামের দৃষ্টিতে সবাই সমান। ইসলাম মানবতাকে এক পতাকাতলে আনতে চায়। তাই হিংসা-বিদ্বেষে জর্জরিত এই পৃথিবীতে ইসলামই একমাত্র আশার আলো।
আল্লাহর দেখানো পথ
ইসলামের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য- এটি আল্লাহর কাছ থেকে পাঠানো একটি আদর্শ। মানুষের মন-মগজের তৈরি কিংবা ধ্যান-সাধনা করে পাওয়া কোনো মতবাদ নয়। এ কারণেই ইসলাম একটি স্বতন্ত্র মতবাদ ।
পৃথিবীর কোনো মানুষই মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত নয়। মানুষ বর্তমানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভবিষ্যতে কী ঘটবে সে জানে না। নিজের পরিবেশের বাইরের খবরও তার জানা নেই। এই সীমাবদ্ধ অবস্থায় আন্তরিকভাবে চিন্তা ভাবনা করলেও তার ফসল সীমাবদ্ধই হবে।
মানুষ চিন্তা-ভাবনা করে সাময়িক একটা সমস্যার সমাধান করতে পারে, কিন্তু মানুষের সকল সমস্যার প্রকৃত ও সঠিক সমাধান দিতে পারে না। এদিক থেকে ইসলামের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আলাদা। আল্লাহ নিজেই এই মতবাদ নাজিল করেছেন- সেই আল্লাহ যিনি সমস্ত বিশ্বের মালিক, পালনকর্তা এবং রক্ষাকারী। ইসলাম আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে বলেই এর মৌলিক বিশ্বাস ও ভিত্তিগুলো ধ্রুব সত্য। সকল মানুষ মিলে এমনকী দুনিয়ার সকল মুসলমান এক হয়েও এর সামান্য পরিবর্তন আনতে পারবে না।
অবশ্য সব ধর্মই দাবি করে তা আল্লাহর কাছ থেকে পাঠানো। কিন্তু এটি ইতিহাস থেকে প্রমাণিত, ইসলাম ছাড়া অন্য সব ধর্মই সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে।
অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাই তাদের ধর্মের শিক্ষার মধ্যে পরিবর্তন এনেছে। সেই সাথে নিজেদের মতামত ও নতুন নতুন কথা যোগ করেছে। এটা তারা নিজেরাই স্বীকার করে। অন্যদিকে ইসলামে আজ পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন আসেনি। হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে যে কুরআন এসেছিল, আজ চৌদ্দশত বছর পরও তা তেমনই আছে এবং ভবিষ্যতে একই রকম থাকবে। এর মধ্যে একটি অক্ষর যোগ করাও হয়নি এবং একটি অক্ষর বাদও দেওয়া হয়নি।
সহজ সরল পথ
ইসলামে কোনো রূপকথার স্থান নেই। নেই কোনো কুসংস্কার কিংবা যুক্তিহীন কথা। ইসলাম আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আখিরাতকে বিশ্বাস করতে বলে। এসব কিছু কোনো যুক্তিহীন কথা নয়। এর পেছনে আছে সুন্দর ও বলিষ্ঠ যুক্তি ।
ইসলামের প্রতিটি শিক্ষা সহজ ও সরল। তাই ইসলাম মেনে চলতে কোনো জটিলতা নেই। ইসলাম মেনে চলতে শুরু, পাদ্রি কিংবা কোনো সাধুকে ধরতে হয় না। প্রতিটি মানুষ সরাসরি কুরআন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সে কুরআনের আলোকে জীবন চালাতে পারে। ইসলাম মানুষকে যুক্তিবাদী করে গড়ে তোলে। তার মধ্যে সৃষ্টি করে জানার আগ্রহ।
তার নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে উৎসাহিত করে। বাস্তবতার দৃষ্টিতে সবকিছু দেখতে শেখায়। এজন্যই মুসলমানদের হাতে জ্ঞান-বিজ্ঞান পেল উৎকর্ষতা। তাই কুরআনের দুআ হলো
رب زدني علما
'হে প্রভু, আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও।' সূরা ত্বহা : ১১৪
কুরআন আরও বলে
هل يستوي الذين يعلمون 114والذين لا يعلمون
"যারা জানে আর জানে না তারা কি পরস্পর সমান হতে পারে?। সূরা আজ জুমার : ৯
আল্লাহর নবি ও বিশ্বের পথপ্রদর্শক বলেন
"জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি নর এবং নারীর ওপর ফরজ। ইবনু মাজাহ